Wednesday, July 2, 2014

টেক্সটাইল ইন্ঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা


বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় খাত।যেহেতু বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের বেশির ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল সেক্টর থেকে, তাই টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর চালানোর জন্য প্রচুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দরকার হয়,আর দিনে দিনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে,সরকারও এই সেক্টর কে বিশেষ খাত হিসেবে দেখছে।তাই এইখাতের উন্নয়নের জন্য ও দক্ষজনবল তৈরীর লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করেছে।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ পেয়ে ৪বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবার সুযোগ পাচ্ছে।
যারা এই বিষয়ে পড়তে আগ্রহী তাদের জন্য বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পলক মজুমদার আমাদের কে কিছু মূল্যবান দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং কথা বলেছেন এই খাত নিয়ে,তা সকলের জন্য তুলে ধরা হলঃ

প্রশ্নঃ আপনি তো বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলে , টেক্সটাইল ইন্ঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া শোনা করছেন,এখানকার মান কেমন?
পলক মজুমদারঃ দেখুন মানের কথা বলতে গেলে যেহেতু বাংলাদেশে সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় একটি তাই মানের ব্যাপারে এটা সেরা।তাছাড়া এখানে সকল প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে যা ব্যবহারিক কাজের সময় অনেক বেশি সহায়ক হয় তাই সেরা মান নিয়ন্ত্রন করেই এখানে পড়ানো হয়।
প্রশ্নঃ শিক্ষকরা কত টুকু সহায়ক?চাকরির বাজারে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাহিদা কেমন?
পলক মজুমদারঃ এখানে আমাদের শিক্ষকরা অনেক বেশি বন্ধুবাৎসল্য,এখানে যারা শিক্ষকতার সাথে নিয়োজিত আছেন তারা প্রত্যেকেই উচ্চতর ডিগ্রীধারী,গ্লোবালি টেক্সটাইলে তাদের অনেক সুনাম রয়েছে,তাদের সান্নিধ্য পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।আর বৈশ্বায়নের এই যুগে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাহিদা,এখান থেকে বের হবার পর চাকরি নিশ্চিত,এমনকি অনেকে শেষ সেমিস্টারে পড়া অবস্থায় চাকরি পেয়ে যায়।তাই চাকরির চিন্তা কখনোই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের করতে হয় না।
প্রশ্নঃ অনেকেরই ইচ্ছা থাকে ভাল টেক্সটাইল ইন্ঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে,তাদের কে কি উপদেশ দিতে চান,কোন পথে এগুলে তারা সফল হতে পারবে?
পলক মজুমদারঃ এখানে চান্স পাওয়াটা অনেক কঠিন,এইচ এস সি তে শিক্ষার্থী কে নূন্যতম জিপিএ-৪.৮০ পেতে হবে শুধুমাত্র আবেদন করার জন্য, তবে জিপিএ-৫ পেলে ভর্তি পরীক্ষায় টিকা অনেক সহজ হয়ে যায়।এর জন্য মেধা আর মননের উপর বেশি জোর দিতে হবে।

 মেডিকেল অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং যেকোন কোচিং করেই চান্স পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়,আর বিগত বছরের প্রশ্নের সমাধান করলে তা অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে৷যদি এখানে ভর্তি হওয়ার লক্ষ্য থাকে তবে তারা যেন বিগত বছরের প্রশ্নের সমাধান কে অনেক গুরুত্বের সাথে নেয়।
প্রশ্নঃ দৈনিক কতটুকু পড়াশোনা করতে হবে?কি কি বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে?আলাদাভাবে এর জন্য কোন প্রস্তুতি নিতে হবে কিনা?
পলক মজুমদারঃ দৈনিক সাধারন নিয়মে পড়াশোনা করলেই যথেষ্ট,আর যারা একটু দূর্বল তাদের কে একটু বেশি মনযোগী হতে হবে,তাই সময়ও একটু বেশি দিতে হবে।কখনোই যেন এটা চাপ না মনে হয়,কারন চাপ নিলে শিক্ষার্থীর চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়,সকল ভর্তি পরীক্ষার সময় এটা মনে রাখতে হবে,নাহলে বাড়তি চাপ সফল হতে বাধা তৈরী করবে,নিজের উপর ভরসা রেখে আর সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করলেই এখানে চান্স পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।

***ক্যারিয়ার ও ভর্তি বিষয়ক যেকোন পরামর্শ ও মতামত জানতে ফেসবুকে আমাদেরকে এই গ্রুপে জানাতে পারেন
.

No comments:

Post a Comment